০৪ অক্টোবর ২০২৫

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

খাগড়াছড়িতে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী আদিবাসী শিশুর শারীরিক পরীক্ষার প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হতে অতিসত্ত্বর সরিয়ে ফেলা, দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ এবং ভুক্তভোগীর সার্বিক গোপনীয়তা ও সুরক্ষা নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছে ধর্ষণ আইন সংস্কার জোট

দেশে বিদ্যমান আইনে যৌন ও লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতায় ভুক্তভোগী ব্যক্তির পরিচয় সংশ্লিষ্ট যে কোন তথ্যাদি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশের ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তা সত্ত্বেও, খাগড়াছড়িতে ধর্ষণের ভুক্তভোগী আদিবাসী শিশুর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ভঙ্গ করে তার শারীরিক পরীক্ষার প্রতিবেদনের মত সংবেদনশীল একটি প্রতিবেদন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে ধর্ষণ আইন সংস্কার জোট। আইন বিরুদ্ধ এ কাজের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ, ভুক্তভোগী শিশুর সার্বিক গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুক্তভোগী শিশুর পরিচয় ও তার শারীরিক পরীক্ষার প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট প্রকাশিত তথ্য অতিসত্ত্বর সরিয়ে ফেলা এবং এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের বিশেষ আবেদন জানাচ্ছে ধর্ষণ আইন সংস্কার জোট।

উল্লেখ্য যে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে গত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ খাগড়াছড়ির সদর উপজেলার সিঙ্গিনালা এলাকায় অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত এক মারমা শিশুর দলবদ্ধ ধর্ষণ ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ ঘটনায় সংক্ষুব্ধ হয়ে পরবর্তীতে ভুক্তভোগী শিশুর বাবা অজ্ঞাত পরিচয়ের তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করলে; এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে অদ্যবধি একজনকে আটক করা হয়। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন থেকে এ ধর্ষণ অপরাধের সুষ্ঠু তদন্ত, দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ এবং ভুক্তভোগীর সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত ও যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদানের জোরালো দাবি তোলা হয়।

ইতোমধ্যে অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করা যায় যে, গত ১ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ ভুক্তভোগী শিশুর শারীরিক পরীক্ষার প্রতিবেদনের বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রদর্শন পূর্বক জানানো হচ্ছে যে, শারীরিক পরীক্ষার প্রতিবেদনে ধর্ষণ পরীক্ষার ১০টি সূচকের সব কটিতে স্বাভাবিক লেখা রয়েছে। অর্থাৎ ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায় নি।

উল্লেখ্য যে, সংবাদ মাধ্যমে এভাবে যৌন ও লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতায় ভুক্তভোগী ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট যে কোন তথ্যাদির প্রকাশ বিদ্যমান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত অধ্যাদেশ ২০২৫) এর ধারা ১৪ এর অধীনে শাস্তিযোগ্য একটি অপরাধ। একইসাথে, শুধুমাত্র ধর্ষণ অপরাধই নয়; যে কোন ধরণের যৌন ও লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতায় ভুক্তভোগী ব্যক্তির শারীরিক পরীক্ষার প্রতিবেদন অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি বিষয়। এ প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট যে কোন তথ্য ন্যায় বিচারের স্বার্থে শুধুমাত্র আদালত ব্যতীত; অন্য যে কোন মাধ্যম তথা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করা উক্ত ভুক্তভোগী ব্যক্তির জন্যে চরম অবমাননাকর এবং অসম্মানজনক।

আরো তথ্য জানতে দেখুন –

Web: https://blast.org.bd/campaigns/rape-law-reform-now/

Facebook: https://www.facebook.com/rapelawreformcoalition

Email: rlrcoalition@gmail.com

 

প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন

ধর্ষণ আইন সংস্কার জোট এর সচিবালয়ের পক্ষে

কমিউনিকেশন বিভাগ, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)

ই-মেইল: communication@blast.org.bd

ধর্ষণ আইন সংস্কার জোট ১৭টি সংগঠন এর সমন্বয়ে গঠিত এ জোটের মধ্যে রয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র, আইসিডিডিআর,বি, উইক্যান, উইমেন ফর উইমেন, একশন এইড বাংলাদেশ, এসিড সার্ভাইভারস ফাউন্ডেশন, ইয়াং উইমেন্স খ্রিষ্টিয়ান এসোসিয়েশন-ওয়াইডাব্লিউসিএ, কেয়ার বাংলাদেশ, জাস্টিস ফর অল নাও, উইমেন উইথ ডিজ্যাবিলিটিজ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন – ডাব্লিউডিডিএফ, নারীপক্ষ, বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি, ব্র্যাক, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (সচিবালয়), মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন।