এম ভি নাসরিন লঞ্চডুবির বিশ বছর: ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের দাবী জানাচ্ছে ব্লাস্ট
৮ই জুলাই, ২০২৩
২০০৩ সালের ৮ই জুলাই চাঁদপুরের কাছে পদ্মা, মেঘনা এবং ডাকাতিয়ার মোহনায় এমভি নাসরিন লঞ্চটি ডুবে যায়। যেখানে ১১০ জনের প্রাণহানি সহ অনেক যাত্রী আহত হন এবং প্রায় দুই শতাধিক যাত্রী নিখোঁজ হয়। ব্লাস্ট এর পক্ষ হতে গত ২০০৮ সালে লঞ্চ দুর্ঘটনা বিষয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা করা হয়(মামলা নং-৩৪৪/২০০৮), যেখানে আদালত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন। গত ৫ জুন ২০১৭ তারিখ মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ ব্লাস্ট কর্তৃক দায়েরকৃত বহুল আলোচিত লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহত ও নিখোঁজ হওয়া সংক্রান্ত মামলায় নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখেন। উচ্চ আদালতের এই নির্দেশের মাধ্যমে নিম্ন আদালতে দায়েরকৃত মামলায় (মামলা নং -৩৪৪/২০০৮) ১৭ কোটি ১১ লক্ষ ক্ষতিপূরণ প্রদান সংক্রান্ত আদেশ কার্যকর করে সকল ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করার দাবী জানাচ্ছি।
এ যাবতকালে দেশে যে সকল নৌ দুর্ঘটনা ঘটেছে সেগুলো পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নৌযান মালিক, পরিচালনাকারী এবং তদারককারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ‘ইনল্যান্ড শিপিং অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬’-এর বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘন হয়ে আসছে। সাম্প্রতিক সময়েও লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড সহ বিভিন্ন দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমরা নিয়মানুযায়ী নৌযানগুলো পরিচালনা নিমিত্তে তদারকির জন্য কার্যকর সরকারি আদেশ জারি, নৌ-ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য নৌ পুলিশ গঠন ও এলাকাভিত্তিক সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব অর্পণ করা, অভ্যন্তরীণ নৌযানসমূহকে মেরিন ইন্স্যুরেন্স-এর আওতায় নেয়া এবং যাত্রীবীমা বাধ্যতামূলক করা, বিভিন্ন ক্যাটাগরির নৌযানের (এমবি, এমএল, ওটি, এমভি ইত্যাদি) জন্য স্পষ্ট ও পৃথক নীতিমালা প্রণয়ন করা, নৌ-আদালত সংখ্যা বৃদ্ধি করা, প্রতি বছর নৌযানের ফিটনেস, কারিগরি ত্রুটি, নকশা প্রভৃতি পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা ও দক্ষ চালকদের প্রশিক্ষণ ইত্যাদি বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানাচ্ছি।
বার্তা প্রেরক
কমিউনিকেশন বিভাগ
communication@blast.org.bd