২৩ জানুয়ারী ২০২৫

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

কাবিননামায় নারীর জন্য অবমাননাকর শব্দ বাতিল করায় স্বাগত জানাচ্ছে ব্লাস্ট

মুসলিম বিবাহ নিবন্ধন ফরম বা কাবিননামায় নারীর জন্য অবমাননাকর শব্দ যেমন, কন্যা কুমারী, বিধবা অথবা তালাকপ্রাপ্তা কিনা বাতিল করে অবিবাহিতা শব্দ প্রতিস্থাপন করায় এবং বিবাহ সম্পাদনে আরোপিত করকে অযৌক্তিক হিসেবে বিবেচনা করে তা বাতিল করায় আইন মন্ত্রণালয়কে সাধুবাদ জানাচ্ছে ব্লাস্ট।

উল্লেখ্য যে, সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত সংবাদ হতে জানা যায় যে, গতকাল ২১ জানুয়ারী ২০২৫ তারিখ সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা উল্লেখ করেন যে, বিবাহ সম্পাদনে আরোপিত কর অযৌক্তিক হিসেবে আরোপ করায় তা বাতিল করা এবং বিবাহ নিবন্ধন ফরমের (নিকাহনামা) একাংশে কন্যা কুমারী, বিধবা অথবা তালাকপ্রাপ্ত নারী কি না তা বাতিল করে ফরমে কিছু পরিবর্তনে এনে এটিকে অবিবাহিত করা হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছে ব্লাস্ট। তিনি আরো বলেন যে, কুমারী শব্দটি নারীর জন্য অমর্যাদাকর তাই মুসলিম বিবাহ নিবন্ধন ফরম বা কাবিননামায় শব্দটিকে অবিবাহিত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, ব্লাস্ট কর্তৃক হাইকোর্ট বিভাগে দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে কনের বৈবাহিক অবস্থা নির্ণয়ের জন্য কাবিননামায় ‘কুমারী’ শব্দটির পরিবর্তে ‘অবিবাহিতা’ শব্দটি সংযোজনের জন্য এবং কাবিননামায় কনের পাশাপাশি পুরুষের বর্তমান বৈবাহিক অবস্থা উল্লেখ করার নির্দেশনা দিয়ে রায় গত ২৫ আগস্ট ২০১৯ তারিখ প্রকাশ করে। কাবিননামায় ‘কুমারী’ শব্দ থাকা নারীর জন্য অপমানজনক, বৈষম্যমূলক, পক্ষপাতদুষ্ট এবং সংবিধানের নারী পুরুষের সমতার প্রতিশ্রুতি এবং সংবিধানের ২৭, ২৮ ও ৩১নং অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক[1]। এটি কোন ব্যক্তির গোপনীয়তা রক্ষায় বেআইনী হস্তক্ষেপ, নারীর ব্যক্তিত্ব ও আত্মমর্যাদার অধিকার ক্ষুণ্ণ করে অবিবাহিত শব্দের পরিবর্তে কুমারী শব্দের প্রয়োগ নারীর জন্য অমর্যাদাকর ও অপমানজনকও। একইসাথে এটি আন্তর্জাতিক নারীর প্রতি সকল বৈষম্য দূরীকরণ সনদেরও পরিপন্থী।

এ রায় প্রদানের দীর্ঘ ছয় বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর আইন মন্ত্রণালয় এর গৃহিত পদক্ষেপ এর জন্য সাধুবাদ জানাচ্ছে ব্লাস্ট। পাশাপাশি কাবিননামায় কনের পাশাপাশি পুরুষের বর্তমান বৈবাহিক অবস্থা উল্লেখ করার হাইকোটের প্রদত্ত নির্দেশনা মোতাবেক নারীর পাশাপাশি পুরুষের ক্ষেত্রেও কাবিননামা ফরমে বিবাহিত/অবিবাহিত শব্দটি সংযুক্তির দাবী জানাচ্ছে ব্লাস্ট।

আরও তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন:

কমিউনিকেশন বিভাগ, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)

ই-মেইলঃ communication@blast.org.bd । ফোনঃ +880 1552-324376

[1] সংবিধানের ২৭, ২৮ ৩১ অনুচ্ছেদ