BLAST demands confirmation of oversight by the National Building Code Enforcement Authority in connection with the series of fire incidents
২০ মার্চ ২০২৪
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
গাজীপুরের কোনাবাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৩০ জন অগ্নিদগ্ধ এবং এর মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পর্যায়ক্রমে ১৪ জনের মৃত্যুতে ব্লাস্ট উদ্বেগ ও শোক প্রকাশ করছেএবং মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড এনফোরসমেন্ট কর্তৃপক্ষের তদারকি নিশ্চিতকরণ ও যথাযথ ক্ষতিপূরণের দাবী জানাচ্ছে । পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ মাধ্যম হতে জানা যায় যে, গত ১৩ মার্চ ২০২৪ তারিখ বুধবার ইফতারের আগ মুহূর্তে কোনাবাড়ীর শ্রমিক কলোনির জনৈক ব্যক্তি বাসায় ব্যবহারের জন্য একটি গ্যাস সিলিন্ডার আনেন। পরে সিলিন্ডারটি চুলার সঙ্গে সংযোগ দেওয়ার পর তা হতে গ্যাস বের হতে থাকে। পরে তিনি সিলিন্ডারটি ঘরের বাইরে ফেলেন। সারি সারি ঘর থাকায় ওই স্থানে একটি মাটির চুলার আগুন থেকে সিলিন্ডারে আগুন লাগে। এ বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩০ জন অগ্নিদগ্ধ হন যার মধ্যে ১৪ জন নিহত হয়েছে।
অগ্নি নির্বাপণ সংক্রান্ত মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশনা ও বিদ্যমান আইন বাস্তবায়ন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড এনফোরসমেন্ট কর্তৃপক্ষের তদারকি নিশ্চিতকরণ এবং ভবিষ্যতে এ ধরণের অগ্নিকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি রোধে ও অগ্নি নির্বাপণ বিষয়ে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে অনতিবিলম্বে জাতীয় নিরাপত্তা প্রচারাভিযান কার্যক্রম ঘোষণা করাসহ সকলের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ব্লাস্ট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছে।
সম্প্রতি ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখ রাজধানীর বেইলী রোডে সহ বিভিন্ন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের প্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট আইন অনুসরণ এবং প্রয়োগ না হওয়াতে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), নাজমুস সাকিব, এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এর দায়েরকৃত জনস্বার্থ মামলার শুনানই শেষে হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ গত ৪ মার্চ ২০২৪ তারিখ অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপণ আইন, ২০০৩ ও বাংলাদেশ জাতীয় বিল্ডিং কোড ২০২০ কেন সুষ্ঠু ভাবে প্রয়োগ করা হবেনা, বাণিজ্যিক স্থাপনা ও কারখানায় কেন অগ্নি নিরাপত্তা কক্ষ এবং পৃথক সিঁড়ির ব্যবস্থা করা হবেনা এবং আবাসিক এলাকাতে বাণিজ্যিক স্থাপনা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবেনা, তা জানতে চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশন (দক্ষিণ) কে কারন দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়াও নিহতদের পরিবার এবং আহতদের কেন পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবেনা তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি রুল জারি করেন এবং মহামান্য আদালত ২০২৩-২০২৪ সালে কোন কোন ভবন, কারখানা এবং স্থাপনায় অগ্নিকান্ডের ঘটনায় কতজন নিহত হয়েছেন এবং কি পরিমাণ ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে এবং এ বিষয়ে তারা কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন, তার তালিকা প্রদানের জন্য, বাংলাদেশের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) কে নির্দেশ দেন। এর পরেও দেশের বিভিন্ন জায়গায় পর্ায়ক্রমে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে যাচ্ছে।
দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও বিভিন্ন অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ভুক্তভোগী কোন পরিবার এখনো আইনগত প্রতিকার পায়নি বিধায় ব্লাস্ট এ বিচার প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করার জোর দাবী জানাচ্ছে। আবাসিক ভবনে অগ্নি নিরাপত্তা সংক্রান্ত আইন না মানার কারণে সাধারণ মানুষের প্রাণহানির আরও একটি মর্মান্তিক ঘটনায় ব্লাস্ট গভীর উদ্বেগ ও শোক প্রকাশ করছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে, সিলিন্ডার কোম্পানি গুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা, ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান, আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার খরচ বহন, ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড এর অধিনে এনফোর্সমেন্ট কর্তৃপক্ষের তদারকি নিশ্চিত, গ্যাস সিলিন্ডার ব্যাবহারে নীতিমালার সুষ্ঠু বাস্তবায়নে জোর দাবি জানাচ্ছে ব্লাস্ট।
আরো তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন:
কমিউনিকেশন বিভাগ
ইমেইল: communication@blast.org.bd