Press Release: “First Workers’ Access to Justice Hackathon held in Dhaka”

২০-২১শে অক্টোবর, ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশে প্রথম “ন্যায়বিচারে শ্রমিকদের প্রবেশাধিকার” বিষয়ক হ্যাকাথন ঢাকার এসকট দ্যা রেসিডেন্স-এ অনুষ্ঠিত হয়। হ্যাকাথনে “বিলম্ব ন্যায়বিচারকে অস্বীকার করে : শ্রম আদালতের এ সংক্রান্ত সংকট সমাধান করা” বিষয়ের উপর কাজ করা দলটিকে উদ্ভাবনী ধারনা উপস্থাপনের জন্য বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।  দুই দিনের জন্য অনুষ্ঠিত হ্যাকাথনে বাংলাদেশে ন্যায়বিচারে শ্রমিকদের প্রবেশাধিকারের পথ সহজ করতে উদ্ভাবনী ভাবনা/ধারণার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ক্যারোলিনার রুল অব ল কোলাবোরেটিভ (আরওএলসি)এর অংশীদারিত্বে ব্লাস্ট (বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট) এবং ডিনেট (ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ নেটওয়ার্ক) যৌথভাবে হ্যাকাথনটির আয়োজন করে।


পটভূমি

ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ক্যারোলিনার রুল অফ ল কোলাবোরেটিভ (ROLC), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি সংস্থা যারা বিশ্বব্যাপী আইনের শাসনকে এগিয়ে নেওয়ার উপর গুরুত্ব আরোপ করে, তারা এই হ্যাকাথনে সহযোগীতা প্রদান করেন। বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), একটি বৃহৎ বেসরকারি আইনি পরিষেবা এবং অধিকার সংস্থা ও ডিনেট (ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ নেটওয়ার্ক), একটি সামাজিক উদ্যোগ যা 2001 সালে বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রযুক্তি এবং তথ্য অ্যাক্সেসের মাধ্যমে ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল- যৌথভাবে এই হ্যাকাথনটি আয়োজন করে।

হ্যাকাথনের লক্ষ্য ছিল অংশগ্রহণকারীদের জ্ঞ্যান, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে কর্মযোগ্য ধারনা এবং সমাধান তৈরি করা। মোট 5টি ক্ষেত্র এই হ্যাকাথনে নির্বাচিত করা হয়ঃ

  1. ব্যবসা এবং শ্রম অধিকার: ন্যায়বিচার প্রক্রিয়া উন্নত করতে বেসরকারী খাতকে কাজে লাগানো।
  2. ব্যবধান পূরণ: আনুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠানিক শ্রমিকদের ন্যায়বিচার প্রাপ্তীর পথ উন্নয়ন করা।
  3. ন্যায়বিচার প্রক্রিয়া আধুনিকীকরণ এবং উদ্ভাবন: ২১ শতকের সরঞ্জামগুলির মাধ্যমে শ্রম আইনের প্রয়োগকে উন্নত করা।
  4. বিলম্বিত ন্যায়বিচার হল ন্যায়বিচার অস্বীকার করা: এ সংক্রান্ত শ্রম আদালতের সংকট সমাধান করা।
  5. শ্রমিকদের অধিকার এবং জলবায়ু ন্যায়বিচার: ইন্টারসেকশনাল হিউম্যান রাইটস।

আইনজীবী, আইন শিক্ষার্থী, উদ্যোক্তা, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, ব্যবসা প্রশাসনের পেশাজীবীর সমন্বয়ে গঠিত ৫টি দল হ্যাকাথনে অংশগ্রহণ করেন। হ্যাকাথনে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দলের প্রতিযোগী, পরামর্শদাতা, বিচারকবৃন্দ প্রত্যেকে শ্রমিকদের অধিকার প্রচারে আগ্রহ প্রদর্শন করেন। ট্রেড ইউনিয়ন, শ্রম অধিকার গোষ্ঠীর প্রতিনিধি এবং আইনজীবী মেন্টর হিসেবে প্রতিটি দলকে সহায়তা করেন যাতে উদ্ভাবিত ধারণাগুলি তাদের পেশাগত অভিজ্ঞতা এবং একাডেমিক দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তিতে বাস্তবে রূপ নিতে পারে।

মেন্টরদের (পরামর্শদাতাদের) মধ্যে ছিলেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক, অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট; জনাব আবুল কালাম আজাদ, সভাপতি, ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন, এবং সাবেক-সদস্য শ্রম আদালত, ঢাকা; মিসেস নাবিলা ফারহিন, সিনিয়র লেকচারার, আইন বিভাগ, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি; ব্যারিস্টার পুষ্প রহমান, সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট, লিগ্যাল সার্কেল এবং জনাব আন্দালিব বিন হক, হেড অফ টেকনোলজি, ডিনেট।

প্রতিটি দল তাদের নির্ধারিত বিষয় নিয়ে শ্রমিকদের ন্যায়বিচার সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ শুরু করে। মেন্টর এবং আয়োজকদের কাছ থেকে ৩৬ ঘন্টার প্রগাঢ় সহযোগীতা এবং দলগত কাজ করার পরে, বিচারক প্যানেলের কাছে তাদের উদ্ভাবিত ধারণাগুলি উপস্থাপন করেন। সম্মানীত বিচারক প্যানেলের মধ্যে একজন শ্রম-আপীল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানসহ অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, বিশেষজ্ঞ, নিয়োগকর্তা এবং এনজিও ব্যক্তিত্ব।

বিচারক প্যানেলে ছিলেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান জনাব এম এ আউয়াল; একজন উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী নেতা মিস সাদাফ সাজ সিদ্দিকী; ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো মিসেস মাহিন সুলতান; ডিনেট-এর নির্বাহী পরিচালক জনাব এম শাহাদাত হোসেন এবং জনাব নুরুল আলম, সদস্য- BLAST-এর বোর্ড অফ ট্রাস্টি।

পরবর্তী যোগাযোগ:

মো: তৈয়্যেবুর রহমান, আউটরিচ স্পেশালিষ্ট (লেবার), ব্লাস্ট। ফোন- ০১৯১১৭০২০৩২

মো: জোনায়েদ হোসেন, সহকারি পরিচালক, ডিনেট। ফোন- ০১৬৭১৩৭৬৩৯৭