প্রেস বিজ্ঞপ্তি: জনি হত্যা মামলার ৪টি মামলায় আদেশ প্রদান

আজ ১৯ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের মাননীয় বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান এবং বিচারপতি সাহেদ নুরুদ্দিন সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ পুলিশী হেফাজতে জনি হত্যা মামলার চারটি মামলায় আদেশ প্রদান করেন। ক্রিমিনাল আপীল ৭৪৯৮/২০২০ মামলায় আপীলকারী মো: রাশেদুল হাসান জরিমানার টাকা প্রদান করত পেপার বুক জমা প্রদানের জন্য সময়ের প্রার্থনার আবেদন মঞ্জুর করেন। ক্রিমিনাল আপীল ১৯৯৯/২০২১ মামলায় আপীলকারী সুমন নিয়ম অনুযায়ী জরিমানার অর্থ প্রদান না করায় আদালত আপীলটি খারিজ করেন।

এছাড়া ক্রিমিনাল আপীল ৯২২২/২০২২ মামলায় আপীলকারী রাসেল জরিমানার অর্থ প্রদান করায় ক্রিমিনাল আপীল ৭৪৯৮/২০২০ মামলার সাথে এর পরবর্তী শুনানীর দিন ধার্য করার আদেশ দেন। এছাড়া ক্রিমিনাল আপীল ৭০২৮/২০২০ মামলায় আপীলকারী জাহিদুর রহমান এর পক্ষে কোন আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় আদালত পরবর্তী তারিখ ২২ নভেম্বর ২০২৩ ধার্য করেন।

পটভূমিঃ উল্লেখ্য যে, গত ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪ ইং তারিখ দিবাগত রাত ২ ঘটিকায় সুমন নামের এক ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত নারী অতিথিদের বিরক্ত করছিলেন। তার উক্ত কাজে প্রতিবাদ করলে অভিযুক্ত সুমন ও রাসেল পুলিশ নিয়ে এসে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ভিকটিম জনি ও তার ভাই রকিকে পল্লবী থানায় ধরে নিয়ে যায়। পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন তাদের উপর করা অমানবিক শারীরিক নির্যাতনের কারণে ভিকটিম জনি মারা যায়। পুলিশি হেফাজতে ইশতিয়াক হোসেন জনির (৩২) মৃত্যুর ঘটনায় বিজ্ঞ মহানগর দায়রা জজ আদালতে নির্যাতন ও হেফাজতে মুত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩ এর অধীনে দায়েরকৃত মামলার রায় ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ সালে প্রকাশিত হয়। রায়ে আসামী তিনজন পুলিশ এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তাদের দোষী সাব্যস্ত করে সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও এক লক্ষ টাকা করে অর্থদন্ড এবং অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদন্ড প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি প্রত্যেককে দুই লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদানের আদেশ দেন। অপর আসামী পুলিশের সোর্স দুজনের বিরুদ্ধে অপরাধে সহায়তা করার প্রমান পাওয়ায় আদালত তাদেরকে সাত বছর করে কারাদন্ড ও বিশ হাজার টাকা অর্থদন্ড এবং অনাদায়ে তিন মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেন।

নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩ এর আওতায় দেশে এটাই ছিল প্রথম কোনো মামলায় রায় ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কর্তৃক রায় প্রদান করা হলেও, যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামীগণ পরবর্তীতে হাই কোর্টে আপীল দায়ের করলে, হাই কোর্ট নিম্ন আদালতের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ প্রদান করেন।

আজ আদালতে ব্লাস্টের প্যানেল আইনজীবী মো: বদিউজ্জামান তপাদার, আইন উপদেষ্টা ও আইনজীবী এস. এম. রেজাউল করিম এবং স্টাফ আইনজীবী মোহাম্মদ নাজমুল করিম ভিকটিম জনির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্র পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি এটর্ণী জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জী।

আরো তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন:
এস. এম. রেজাউল করিম
আইন উপদেষ্টা, ব্লাস্ট
মোবাইল: ০১৭৫৮৭৫৬৪১২
ইমেইল: rezaul@blast.org.bd

কমিউনিকেশন বিভাগ
আরও তথ্যের জন্য: communication@blast.org.bd