প্রেস বিজ্ঞপ্তি:রানা প্লাজা ধসের দশ বছর: ক্ষতিগ্রস্ত সকল শ্রমিক ও পরিবারের পূনর্বাসনসহ মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি এবং যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবী জানাচ্ছে ব্লাস্ট

২৪ এপ্রিল ২০২৩, রানা প্লাজা ধসের দশ বছর উপলক্ষে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও উচ্চ আদালতের নজির অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত যুগোপযোগী বিধান অন্তর্ভুক্ত করে শ্রম আইন সংশোধন, নিরাপদ কর্মক্ষেত্র নিশ্চিত করার দাবী জানাচ্ছে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক ও তাদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান, পুনর্বাসন ও মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির দাবী জানাচ্ছে।

ঘটনার দীর্ঘ ১০ বছর অতিবাহিত হলেও আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক কিংবা তার পরিবারকে কোন ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়নি, যদিও ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকগণ এবং তাদের পরিবার রানা প্লাজা ট্রাস্ট ফান্ড হতে আর্থিক সহায়তা পেয়েছে। কিন্তু ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিগণকে অদ্যাবধি বিচারের আওতায় এনে ক্ষতিপূরণ প্রদানে বাধ্য করা যায়নি।

বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী বর্তমানে নিহত শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম ২ লক্ষ টাকা এবং আহত শ্রমিকদের জন্য ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য আছে, যা আদৌ সময়োপযোগী নয় এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সাথেও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তাই আমরা কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় আহত বা নিহত শ্রমিকের এবং তাদের পরিবারের যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের আহ্বান জানাচ্ছি। দুর্ঘটনার শিকার কোন আহত বা নিহত শ্রমিকের ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নির্ধারণের সময়ে অবশ্যই তার ভবিষ্যৎ প্রাপ্য মজুরী, চাকুরী শেষে প্রাপ্য গ্রাচ্যুইটি, অনুমিত চিকিৎসা খরচ, পরিবারের পোষ্যদের অনুমিত খরচ, দুর্ঘটনার পরবর্তী শ্রমিকের মানসিক চাপ এবং সর্বোপরি আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও উচ্চ আদালতে নজির বিবেচনায় নেওয়ার জন্য ব্লাস্ট জোর দাবী জানাচ্ছে। উচ্চ আদালতের নজিরের ক্ষেত্রে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সাংবাদিক মোজাম্মেল হোসেন ও চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের মামলা এবং এমভি নাসরিন লঞ্চ ডুবির মামলা ৩টি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এ সকল মামলার সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিজ্ঞ বিচারিক আদালত সমূহ কর্তৃক উপার্জন হারানো (loss of earning) গ্র্যাচুইটি ((gratuity) এবং যন্ত্রণা ও দূর্ভোগ (pain and suffering) বিষয়গুলো বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।

আরো তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন:

communication@blast.org.bd